প্রশ্ন- A- Oryza sativa , B- Homo sapiens.
ক. অণুজীব কী?
খ. বস্তুবিদ্যাকে জীববিজ্ঞানের ভৌত শাখা বলা হয় কেন?
গ. উদ্দীপকে 'A' কে লিনিয়াস প্রদত্ত পদ্ধতি অনুসারে কীভাবে নামকরণ করবে বর্ণনা কর।
ঘ. উদ্দীপকে 'A' ও 'B' এর রাজ্যগুলির তুলনামূলক আলোচনা সাপেক্ষে কোনটি উন্নত-মূল্যায়ন কর।
প্রশ্নের উত্তর-
ক) অণুবীক্ষণিক জীব অর্থাৎ যেসব জীবকে খালি দেখা যায় না।
খ) বাস্তুবিদ্যা বলতে জীব ও তাদের বাসস্থান সম্পর্কে জ্ঞানকে বোঝায়। আমাদের চারপাশের পরিবেশের সাথে সকল জীবের সম্পর্ক বিষয়ক জ্ঞানই হলো বাস্তুবিদ্যা। যেহেতু বাস্তুবিদ্যায় তত্ত্বীয় বিষয়ে আলোচনা করা হয়, তাই বাস্তুবিদ্যাকে জীববিজ্ঞানের ভৌত শাখা বলা হয়ে থাকে।
গ)উদ্দীপকের 'A' হলো ধান যার বৈজ্ঞানিক নাম Oryza sativa। এই উদ্ভিদটির নামকরণে ক্যারোলাস লিনিয়াস প্রদত্ত দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতি অনুসরণ করবো। পদ্ধতিটি নিম্নরূপ-
i. নামকরণে অবশ্যই ল্যাটিন শব্দ ব্যবহৃত হয়।
ii. এর Oryza অংশটি গণ নাম এবং sativa অংশটি প্রজাতিক নাম।
iii. এটি অনন্য নাম, এ নামে অন্য আর কোনো জীব নেই এবং সার্বজনীন, সকল ভাষায় এটি এভাবে ব্যবহৃত হবে।
iv. এই নামের প্রথম অংশের প্রথম অক্ষর অর্থাৎ ০ এবং বাকি অক্ষরগুলো ছোট হরফের এবং দ্বিতীয় অংশের সবগুলোই ছোট হরফের হবে।
v. মুদ্রণের সময় নামটিকে ইটালিক অক্ষরে লিখতে হয়। যেমন; Oryza sativa
vi. হাতে লেখার সময় এর গণ ও প্রজাতিক নামের নিচে আলাদা আলাদা দাগ দিতে হবে। যেমন: Oryza sativa।
vii. প্রথমে যে বিজ্ঞানী এর বিজ্ঞানসম্মত নাম দিয়েছেন তার নাম অনুযায়ীই এটি গৃহীত এবং এই নামের শেষে উক্ত বিজ্ঞানীর নাম সংক্ষেপে সংযোজিত হবে। যেমন: Oryza sativa L. (এখানে L লিনিয়াসের নামের সংক্ষিপ্ত রূপ)।
ঘ) উদ্দীপকে উল্লিখিত 'A' হলো ধানের এবং 'B' হলো মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম। সেই অনুসারে A হলো প্লান্টি এবং B হলো অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত।এই দুটি রাজ্যের জীবগুলো গঠনগত ও কার্যগত বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে একে অন্যের থেকে আলাদা। প্লান্টি রাজ্যের জীবকোষে কোষপ্রাচীর, প্লাস্টিড ও কোষ গহ্বর থাকে। প্লাস্টিড থাকায় এরা সালোকসংশ্লেষণ র প্রক্রিয়ায় খাদ্য তৈরি করতে পারে। অন্যদিকে অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের জীবকোষে কোষপ্রাচীর, প্লাস্টিড ও কোষ গহ্বর নেই। প্লাস্টিড. না থাকায় এরা হেটারোট্রাফিক অর্থাৎ পরভোজী এবং খাদ্য গলাধঃকরণ করে ও হজম করে। প্লানটি রাজ্যের জীবগুলোর যৌন জনন অ্যানাইসোগ্যামাস ধরনের। এদের ভূণ সৃষ্টি হয় এবং তা থেকে ডিপ্লয়েড পর্যায় শুরু হয়। অন্যদিকে অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের জীবগুলো যৌনজননের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি করে। এদের ডিপ্লয়েড পুরুষ ও স্ত্রী. ই প্রাণীর জননাঙ্গ থেকে হ্যাপ্লয়েড গ্যামেট উৎপন্ন হয়। ভ্রূণ বিকাশকালীন ন সময়ে ভ্রূণীয় স্তর সৃষ্টি হয়। প্লানটি রাজ্যের জীবেরা হলো - আর্কিগোনিয়েট ও পুষ্পক উদ্ভিদ, অন্যদিকে সকল অমেরুদণ্ডী - প্রোটোজোয়া ছাড়া মেরুদণ্ডী প্রাণী অ্যানিমেলিয়া রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত। - উপরের আলোচনা সাপেক্ষে বলা যায় যে, দুটি রাজ্যের মধ্যে - অ্যানিমেলিয়া রাজ্যটি বেশি উন্নত।চোখে দেখা যায় না তারাই অণুজীব।