0 টি ভোট
26 বার প্রদর্শিত
"বাংলা সাহিত্য" বিভাগে করেছেন (615 পয়েন্ট)

শিয়রের কাছে নিবু নিবু দীপের সাথে বিরহী মায়ের পরান দোলে কেন?

1 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (615 পয়েন্ট)
'খোকা এলি' ঝাপসা চোখে মা তাকায়, উঠানে-উঠানে, যেখানে খোকার শব শুকুনিরা ও ব্যবচ্ছেদ করে--- এখন মার চোখে চৈত্রের রোদে পুড়িয়ে দেয় শকুনিদের এখন মার চোখ যেন শিশির ভোর, স্নেহের রোদে ভিটে ভরেছে।

ক. ঘরের চালে কি ডাকে? উঃ হুতুম ডাকে।

খ. শিয়রের কাছে নিবু নিবু দীপের সাথে বিরহী মায়ের পরান দোলে কেন?

 উত্তরঃ বিরহী মায়ের পরান দোলে অসুস্থ সন্তানের মৃত্যু শঙ্কায়।পল্লিজননী কবিতায় এক হতদরিদ্র দুঃখিনী মায়ের সন্তান স্নেহের দিকটি তুলে ধরা হয়েছে।দুঃখিনী এক মাতার একমাত্র পুত্র অসুস্থ।মা তাই সন্তানের জন্য সারাক্ষণ দুশ্চিন্তায় মগ্ন।পুত্রের আরোগ্য কামনায় তিনি সাধ্যমতো মানত করেন।তারপরেও ছেলেকে নিয়ে তার অশুভ চিন্তা দূর হয় না।অসুস্থতা, পোলা হারানোর আশঙ্কায় তার পরান দুলে ওঠে।তখর ছেলের দুরন্তপনার কথা মনে হয়।আর্থিক দৈন্যের কারণে ছেলের আবদার পূরণে ব্যর্থ হওয়ার কথা মনে পড়ে।গভীর রাতে রুগন পরিবেশে, পারিপার্শ্বিকতার নানা কিছুর মধ্যে মা অমঙ্গলের সন্ধান পান।হুতুমের ডাক তার কানে অকল্যাণের সুর হয়ে বাজ।এমনকি প্রদীপের তেলও ফুরিয়ে আসে।নিবু নিবু প্রদীপকে মা পুত্রের জীবনপ্রদীপ বলে মনে করছে।এসব কারণেই বিরহী গ্রামীণ মায়ের পরান দোলছে।

 গ. উদ্দীপকের খোকার সঙ্গে এসএসসির পাঠ্য পল্লিজননী কবিতার রুগণ ছেলের বৈসাদৃশ্য নিরূপণ করো।

সমাধানঃ তাদের মধ্যে পরিবেশ ও চেতনাগত বৈসাদৃশ্য বিদ্যমান।মায়ের কাছে তার সন্তান পৃথিবীর সবচেয়ে দামি বস্তুর চেয়েও মূল্যবান।মা সবসময় সন্তানদের মঙ্গল চিন্তা করে থাকেন।ছেলের অসুস্থতায় সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তায় থাকে একজন মাতা।সন্তানের সুখের প্রাণান্ত চেষ্টা করে যান এক মা।উদ্দীপকে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে পুলিশের গলিতে নিহত সন্তানের জন্য মায়ের মনের তীব্র বেদনার কথা বিবৃত হয়েছে।শহরে প্রবাসী ছেলে মায়ের চিঠি পেয়েছে, গাঁয়ে মায়ে কাছে যাওয়ার জন্যে।সেই চিঠি পকেটে নিয়েই রাজপথে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে।মায়ের খোকা ঘরে ফিরেছে কিন্তু শত্রুর আক্রমণে রক্তাক্ত শব হয়ে।ছেলে হারানোর শোক এখন মায়ের কাছে প্রতিবাদের তীব্র চেতনা।তাঁর চোখে প্রতিশোধের আগুন, যা তাঁর সন্তানের হত্যাকারীদের পুড়িয়ে মারতে পারে।মায়ের কাছে তার ছেলের আত্মদান মাতৃভাষা, মাতৃভূমির অধিকারের জন্য, তাই তো তার চোখে বাংলার শ্যামল প্রকৃতির প্রাত্যহিক জীবনের সাথে মিলমিশে একাকার।আর এই বিষয়ের ভাবনার সঙ্গে উক্ত কবিতার ভাবধারা বৈসাদৃশ্যপূর্ণ।যেখানে যে সংগ্রামের কথা বলা হয়েছে, তা হলো দারিদ্র্যের সাথে লড়াই করা।সেখানে মায়ের চেতনাগত পরিবর্তন নেই।অন্যদিকে উদ্দীপকে মাতা তাঁর ছেলের ঘরে ফেরার জন্য প্রহর গুনছে।

ঘ.পল্লিজননী কবিতা ও উদ্দীপকের বিষয় কি একই সূত্রে গাঁথা নয় উত্তরের পক্ষে তোমার যুক্তি পরিবেশনা করো?

উঃ উপোরক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।জন্মের পর থেকেই মানবশিশু মা ও বাবার স্নেহ এবং মমতায় বেড়ে ওঠে।ছেলে মেয়ের সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য তারা নিজেদের সুখ বিসর্জন দেন।তাই সন্তানের জন্য বাবা ও মা হচ্ছেন পরম আশ্রয়।উদ্দীপকের শহরে প্রবাসী ছেলের জন্য অপেক্ষায় থাকা মায়ের চেতনাগত পরিবর্তন দেখানে হয়েছে।এই পরিবর্তন তার ছেলেকে কেন্দ্র করে।ছেলে তার গ্রামীণ মায়ের কাছে ফিরবে সে আশায় মা পথ চেয়ে আছেন, ছেলের সব পছন্দের খাবারের আয়োজন করেছেন।তারপর একদিন ছেলের লাশ ফিরলো অসহায় মার কাছে।ভাষা আন্দোলনের মিছিলে গিয়ে ছেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছে, মা ক্ষিপ্ত হলেন বৈরীর উপরে।এভাবে কিছুদিন যাওয়ার পরে ধীরে ধীরে তিনি শান্ত হয়ে এলেন, ছেলের স্বপ্নের মাতৃভাষা ও জন্মভূমি এখন স্বাভাবিক জীবনে অভ্যস্ত।কিন্তু এই বিষয়টি পল্লজননী কবিতার সাথে মিলে না।সেখানে ফুটে উঠেছে পল্লিমায়ের পুত্র হারিয়ে যাওয়ার শঙ্কা, দরিদ্র পরিবারের করুণ কাহিনি।পুত্রের রোগশয্যার পার্শ্বে নিবু নিবু প্রদীপ, চারদিকে মশার অত্যাচার, ডোবার পচা পাতার গন্ধ, ঠাণ্ডা হাওয়া এমন নানা প্রতিকূলতা অসুস্থ পুত্রের ঘুম কেড়ে নেয়।মা চুমো খেয়ে সারা গায়ে হাত বোলান।যা উদ্দীপকে নেই।এসব দিক বিচারে তাই বলা যায় যে, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।
সুস্বাগত Answerpori পক্ষ থেকে, আপনার মনে জাগা চমৎকার প্রশ্নটি করে ফেলুন এবং এই প্লাটফর্মের সদস্যদের থেকে সমাধান নিন খুব সহজেই।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
1 উত্তর
0 টি ভোট
1 উত্তর
0 টি ভোট
1 উত্তর
0 টি ভোট
0 টি উত্তর
21 মার্চ "ইসলাম শিক্ষা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Xinurislam (172 পয়েন্ট)
...